কোরআন তেলাওয়াত

0
770
কোরআন তেলাওয়াত সম্পর্কে
২০৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও মহিমান্নিত আল্লাহ বলেন, “কুরআন তিলা’ওয়াত ও আমার যিকির যাকে আমার কাছে কোন কিছু চাওয়ার এবং আমাকে ডাকবার ফুরসাত দেয় না, তাকে আমি শুকর-গুজারদের জন্য নির্ধারিত পুরস্কারের চেয়েও শ্রেষ্টতম পুরস্কার দিয়ে থাকি।”

ইবনুল আনবারী এ হাদীসটি হরত আবূ সাঈ’দ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২০৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ্‌ তাবারাক ওয়াতা’আলা বলেন, “কুরআন তেলাওয়াত ও আমার যিকিরে মশগুল হওয়ার দরুণ যে লোক আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করার সুযোগ পায় না তাকে আমি যা দেই, তা প্রার্থনাকারীকে যা দিয়ে থাকি তার চেয়েও উত্তম। আর আল্লাহর বানীর মর্যাদা যাবতীয় বাণীর উপর অনুরূপ, যেমন সমুদয় সৃষ্টির উপরে সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে আল্লাহর মর্যাদা।”

দারেমী এ হাদীসটি হযরত আবূ সাঈ’দ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

সূরা ফাতিহা
২০৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, “হে আদম সন্তান, আমি তোমার উপর সাতটি আয়াত নাযিল করেছি, তার তিনটি আমার জন্য, তিনিটি তোমার জন্য আরেকটি আমার ও তোমার জন্য সমান সমান। অতঃপর যা আমার জন্য তা হচ্ছে, “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন, আর-রাহমানির রাহীম, মালিকি ইয়াওমিদদীন।” আর যা আমার ও তোমার জন্য তা হল, “ইয়্যাকা-না’বুদু ওয়াইয়াকা নাসতায়ীন” তোমার তরফ থেকে ইবাদত এবং আমার তরফ থেকে তোমাকে সাহায্য দান। আর যা তোমার জন্য তা হচ্ছে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকীম রিাতাল্লাযীনা আন আ’মতা আ’লাইহিম, গায়রিল মাগদুবি আ’লাইহিম আলাদদোয়াল্লীন।”

তিবরানী এ হাদীসটি হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

সূরা ইখলাস
২০৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- রাতে যে লোক নিজ বিছানায় শোয়ার ইচ্ছা করে তারপর ডান কাতে শুয়ে একশ’বার কুলহু আল্লাহু আহাদ’ (সূরা এখলাস) পাঠ করে, কেয়ামতের দিন পরোয়ারদেগার তাকে বলবেন, “হে আমার বান্দা! তুমি তোমার ডান দিক দিয়ে বেহেশতে প্রবেশ কর।”

তিরমিযী এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।